সিরিয়ায় সৈন্য পাঠায়নি তুরস্ক

সিরিয়ার ভিতরে তুরস্কের কিছু সৈন্য প্রবেশ করেছে, গতকাল এমন খবর প্রকাশিত হয় বিশ্বে কয়েকটি বড় বড় গণমাধ্যমে। এমন খবর প্রকাশের পরই বিশ্বের পরাশক্তিগুলোও নড়েচড়ে বসে। কিন্তু আজ প্রকাশিত ওই খবরের সত্যতা অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে তুরস্ক।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই খবরকে ভিত্তিহীন মন্তব্য করে তুর্কী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমেত ইলমাজ দেশটির সংসদীয় কমিশনে জানান, 'গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবরের কোন সত্যতা নেই। আপাতত সিরিয়ায় তুরস্কের সৈন্য মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনাও নেই।'

কিছুদিন আগেই সিরিয়ার পক্ষ থেকে জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল যে, তুরস্ক প্রায় একশো বন্দুকধারীকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সিরিয়ার ভেতর পাঠিয়েছে। যাদের তুর্কী অথবা দেশটির ভাড়াটে সৈন্য বলেও জানিয়েছিল দামেস্ক।

এছাড়াও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বোমা বর্ষণ বন্ধ করার লক্ষ্যে তুরস্কের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছিল সিরিয়া। এই হামলার কারণে দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও দাবী তুলেছিল সিরিয়া।

গতকাল তুরস্ক সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশ অভিমুখে অগ্রসরমান কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর গোলা নিক্ষেপ করেছে। জানা গেছে, এই কুর্দিরা প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধী বিদ্রোহীদের কাছ থেকে এলাকা দখল করে নিচ্ছে এবং বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

তুরস্ক জানিয়েছে, যেসব কুর্দি মিলিশিয়া সিরিয়ায় যুদ্ধ করছে তারা নিষিদ্ধ-ঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী পিকেকে গোষ্ঠীর সাথে জড়িত। কুর্দিদের জন্যে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এই গ্রুপটি গত কয়েক দশক ধরে লড়াই করছে। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই কুর্দিদের সহযোগিতা করে আসছে।

তবে কুর্দিদের ওপর তুরস্কের এই হামলা সিরিয়ার সঙ্কটকে আরো জটিল করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকগণ।

আপনি আরো পড়তে পারেন 

লেজার লাইটের কারণে জরুরি অবতরণ করলো বিমান

২০৫০ সালে সমুদ্রে মাছের চেয়ে প্লাস্টিক বর্জ্য বেশি থাকবে

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন একজন ভারতীয়?