বাবার কাছ থেকে কবি পরিচয় গোপন করতে নিজের নাম রেখেছিলেন পাবলো নেরুদা। তাঁর প্রকৃত নাম নেফতালি রিকার্ডো রেয়েস বাসোয়ালতো। চিলির রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক ব্যক্তিত্ব ছিল তার পোশাকি পরিচয়, কিন্তু আত্মিকভাবে তিনি ছিলেন ‘পাবলো নেরুদা’, বিংশ শতাব্দির সর্বভাষার সেরা কবি। সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য ১৯৭১ সালে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ ক্লাবের আয়োজনে পাবলো নেরুদার কবিতা নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ্ হলো দুটি পদ্যনাটক।

drama on poem of pablo neruda 2

'এন ওড টু নেরুদা' শিরোনামে অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ শুরু হতেই মঞ্চের আলো নিভে গিয়ে নীলচে আলোয় পুরো অডিটোরিয়ামে বিষন্নতার আবেশ সৃষ্টি করলো। পাবলো নেরুদার জনপ্রিয় 'ইফ ইয়্যু ফরগেট মি' বা যদি তুমি আমায় ভুলে যাও কবিতার চরণ নিয়ে চাঁদের আলোয় নদীতীরে যেন মুখোমুখি দাঁড়ালো একজন যুবক এবং একটি নারী চরিত্র। নাটকটিকে অভিনয় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী জেরিন তাসনিম ও আইজ্যাক হালদার।

পাবলো নেরুদার অন্যতম জনপ্রিয় এই কবিতার চরণে বিষাদের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি জনপ্রিয় ‘টুনাইট আই ক্যান রাইট দ্যা স্যাডেস্ট লাইনস’ অর্থাৎ আজ আমি আমি বিষন্নতার বানান লিখবো কবিতাটি নাট্যরূপে উপস্থাপন করেন শাহরিয়ার আমিন রাফি, অর্ণব পিয়াল ও মো. সাইফুদ্দিন আল কাদেরি। ভগ্নসত্ত্বা নিয়ে তিনটি চরিত্র নিরাশার গভীর সমুদ্রে ধীরে ধীরে নিমজ্জিত হয় কবিতার চরণের মধ্য দিয়ে। নাটক দুটির নির্দেশনা দিয়েছেন নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের লেকচারার ও ইংলিশ ক্লাবের কো-মডারেটর আহমেদ তাহসিন শামস।

drama on poem of pablo neruda

নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ বদরুল আহসান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি নিজ বক্তব্যে পাবলো শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নেরুদার রাজনৈতিক জীবন ও কবিসত্ত্বার মিশেল তুলে ধরেন। এসময় কবির পরাবাস্তব চিন্তাশক্তি নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আযোজক এবং অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্যাট্রিক ড্যানিয়েল গ্র্যাফনি এবং রেজিস্ট্রার ফাদার আদম এস পেরেইরা।