বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের আলোচিত নির্বাচনে সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। গত ২৮ জানুয়ারির ভোট শেষে রাতভর গণনা চলে, ফলাফল ঘোষণা করা হয় পরদিন ভোরে। এরপর ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক থামছে না।

zayed khanজায়েদ খান, ফাইল ছবি

এর মধ্যেই জায়েদ খান ও কার্যকরী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা স্থগিতের লিখিত আবেদন করা হয়েছে আপিল বোর্ডে। হেরে যাওয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণের আবেদনটি আমলে নিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। জায়েদ ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

চিঠিটি আমলে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অভিযোগ করা হয়েছে, জায়েদ খানের পক্ষে কাজ করেছেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তাতে ফল বিপক্ষে গেছে নিপুণের।

nipunনিপুণ, ফাইল ছবি

এ বিষয়ে জায়েদ খানের বক্তব্য, ভোট পুনর্গণনা শেষে আপিল বিভাগ ফল ঘোষণা করে, যাতে পরাজয় মেনে সই করেন নিপুণ। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে এখন প্রার্থিতা নিয়ে আবেদন মন্ত্রণালয়ের যেতে পারে না, এটি অবৈধ প্রক্রিয়া।

জানা গেছে, সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পাওয়া জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণের ভোট ১৬৩।

নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। একটি কাঞ্চন-নিপুণ, অপরটি মিশা-জায়েদ। ভোটের আগেই কাঞ্চন-নিপুণদের জয়ের ব্যাপারে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত কোনো প্যানেলই এককভাবে জেতেনি। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ভালো ব্যবধান জিতলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান উতরে গেছেন মাত্র ১৩ ভোটে।