বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অভিনেতা জায়েদ খান ও অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। নানা নাটকীয়তার পর জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। পরে অনিয়মের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ।

nipun akter fdc electionনিপুণ আাক্তার, ফাইল ছবি

বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আপিল বোর্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা হরে। এরপর হাইকোর্টে যান জায়েদ। সেখান থেকে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত, যার বিরুদ্ধে এবার আপিল করেছেন নিপুণ।

আজ মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে আপিল আবেদনটি করেন নিপুণের আইনজীবী সিনিয়র রোকনউদ্দিন মাহমুদ। শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। নিপুণের আইনজীবীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

zayed khanজায়েদ খান, ফাইল ছবি

এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার আদেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

নির্বাচনে দুটি প্যানেল অর্থাৎ কাঞ্চন-নিপুণ এবং মিশা-জায়েদ প্যানেল অংশ নেয়। নির্বাচনে বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি নির্বাচিত হলেও তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যান নিপুণ। অপরদিকে, মিশা সওদাগর হেরে গেলেও ওই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান।

কিন্তু নির্বাচনের দিনই সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিপুণ অভিযোগ করেন যে, জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন জায়েদ খান। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পুনঃগণনা চেয়ে আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু পুনঃগণনাতেও বিজয়ী হন জায়েদ।

এরপর বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। সেখানে জায়েদ খানের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন নিপুণ। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে জায়েদ খানের আলোচনার কিছু স্ক্রিনশট দেখানো হয়। যেখানে দেখা যায়, নির্বাচনে নানাভাবে প্রস্তাব বিস্তার করেছেন জায়েদ খান।

এরপর নিপুণ নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার বিকালে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপূণ অংশ নিলেও ছিলেন না জায়েদ।

তবে জায়েদ খানের অনুপস্থিতিতেই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থেকে তাকে অপসারণের ঘোষণা দেন সোহানুর রহমান সোহান। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি তার পরিবর্তে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন।