জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় আর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর স্বাধীনতা পদক দিয়ে থাকে বাংলাদেশ সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ১০ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার দেওয়া হয়। গত ১৫ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাহিত্যে মরণোত্তর এই পুরস্কার পেয়েছেন মো. আমির হামজা।

amir hamzaআমির হামজা ও স্বাধীনতা পুরস্কার

এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই আজ শুক্রবার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আমির হামজার পুরস্কারটি বাতিল করা হয়েছে। মাগুরার শ্রীপুরের বরিশাট গ্রামে জন্ম নেওয়া এই সাহিত্যিক পালাগানের শিল্পী ও কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

আমির হামজা ১৯৭৮ সালে ২টি হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন, কারাভোগও করেছেন বলে জানা যায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়, যা তার পুরস্কার বাতিলের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটল।

shadhinota padakস্বাধীনতা পুরস্কার

এ বছরের অন্য পদকপ্রাপ্তরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস এবং মরহুম সিরাজুল হক।

চিকিৎসাবিদ্যায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম। স্থাপত্যে মরহুম স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। এবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীনতা পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট।

পুরস্কারটির বর্তমান অর্থমূল্য ৫ লাখ টাকা। এছাড়া আঠারো ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। ১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আগের দিন জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে এই পদক প্রদান করা হচ্ছে।