পলক: শীর্ষ প্রযুক্তির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ

২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর মেধাবী উন্নত দেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারুণ্যের অফুরান শক্তি প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি এবং মাইক্রো প্রসেসর নিয়ে কাজ করছে দেশের প্রযুক্তি খাত। আমাদের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শীর্ষ প্রযুক্তির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ, কথাগুলো বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ফাইল ছবি

আজ শনিবার নাটোর জেলার বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বাউয়েট) মোবাইল অ্যাপস এন্ড গেম টেস্টিং ল্যাব উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। আইসিটি বিভাগের ‘মোবাইল গেম এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে এই ল্যাবটি স্থাপন করা হয়।

পলক বলেন, ১৩ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে পিছিয়ে পড়া স্বল্পোন্নত দেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ওই সময়ে প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উচ্চাভিলাসী রূপকল্প উপস্থাপন করা হয়। বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে দেশ এখন সারাবিশ্বে প্রযুক্তিতে অগ্রগামী। এ দেশের সোনার মানুষকে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়। পাশাপাশি সারাদেশে ১৩ হাজার স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাটোর-১ এর সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, বাউয়েট উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মো. মোস্তাফা কামাল এবং কাদিরাবাদ সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪০টি মোবাইল অ্যাপস অ্যান্ড গেম টেস্টিং ল্যাবপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পের আওতায় ৭ হাজার ৪২৫ জনের প্রশিক্ষণ, ২৮৯টি মোবাইল অ্যাপস ও গেম ডেভেলপমেন্ট এবং ৩৩টি জেলা পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপস টেস্টিং সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।