প্রথমবারের মতো ১৩ ব্যক্তি পাচ্ছেন এআইপি পুরস্কার

দেশের কৃষিখাতে অবদানের জন্য ১৩ ব্যক্তিকে ‘এগ্রিকালচারালি ইম্পরটেন্ট পারসন’ বা এআইপি ঘোষণা করেছে সরকার। শিল্প-বাণিজ্যে অবদানের জন্য প্রতি বছর যেমন সিআইপি ঘোষণা করা হয়, তেমনি কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্যও এবার প্রথমবারের মতো এআইপি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সিআইপিদের আদলে এআইপিরাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রথমবারের মতো এআইপি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে

এআইপি ইস্যুতে রোববার প্রকাশিত গেজেটে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ১৩ জনকে এ সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আগামী ২৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এআইপিদের সম্মাননা জানানো হবে।

কৃষি উদ্ভাবন (জাত/প্রযুক্তি) ক্যাটাগরিতে এবার এআইপি পদক পাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ও প্ল্যান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, বাগেরহাটের ফিউচার অর্গানিক ফার্মের মালিক সৈয়দ আব্দুল মতিন, সিলেটের আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্ত্বাধিকারী আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী ও দিনাজপুরের এ আর মালিক সিডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপান মালিক ।

কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার পাচ্ছেন সাতজন। তারা হচ্ছেন, নাটোরের দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্মের মালিক সেলিম রেজা, ঝালকাঠির এশা ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচালারাল ফার্মের মালিক মাহফুজুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, পটুয়াখালীর শাহবাজ হোসেন খান, পিরোজপুরের জাগো কেঁচো সার উৎপাদন খামারের মালিক বদরুল হায়দার বেপারি এবং কুমিল্লার বিসমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন ও খামারের মালিক মো. সামছুদ্দীন কালু।

সরকার নিবন্ধিত সংগঠন ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন নওগাঁর শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘরের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম শাহ।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক পাওয়া দুজনকেও এআইপি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তারা হলেন- পাবনার ঈশ্বরদীর মা-মনি কৃষি খামারের উদ্যোক্তা শাহজাহান আলী বাদশা এবং একই জেলার নুরন্নাহার কৃষি খামারের নুরন্নাহার বেগম।

‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা ২০১৯’ তৈরি করে সরকার। এরপর ২০২০ সালে পদক দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও করোনা মহামারির কারণে প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা জানান, ২০২০ সালের পদক দেওয়া হচ্ছে এবার। আগামী বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা দেওয়া হবে।

এআইপি স্বীকৃতির মেয়াদ এক বছর। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে এসব ব্যক্তিকে একটি কার্ড দেওয়া হবে। এআইপিরা সচিবালয়ে ঢোকার পাস পাবেন, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন, গণপরিবহনে (বিমান, রেল, বাস ও নৌ ভ্রমণে) আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও পাবেন অগ্রাধিকার।