মুসলমান ৯১.০৪ শতাংশ, স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬

দেশে মোট জনসংখ্যার ৯১.০৪ শতাংশ মুসলমান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক আজ বুধবার (২৭ জুলাই) প্রকাশিত নতুন জনশুমারি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মুসলমানদের হার ছিল ৯০.৩৯ শতাংশ। এদিকে, নতুন জনশুমারি অনুযায়ী দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। শুমারি অনুযায়ী, দেশে প্রথমবারের মতো পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে।

বিবিএস-এর শুমারি বলছে, দেশে মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই কমেছে হিন্দু, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা। বর্তমান শুমারিতে দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর হার ৭.৯৫ শতাংশ, ২০১১ সালের আদমশুমারিতে যা ছিল ৮.৫৪ শতাংশ।

জনশুমারির তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন জানান, এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। ২০১১ সালের শুমারি অনুযায়ী দেশে জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।

দেশে বর্তমানে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারী রয়েছেন ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯। জনশুমারি অনুযায়ী, দেশে এখন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। বর্তমানে দেশে ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ রয়েছে ৯৮ জন।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালে প্রথম জনশুমারি অনুযায়ী, ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন ছিল দেশের জনসংখ্যা।