একইদিনে ঢাকায় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তাইওয়ান ইস্যুতে বেইজিং-ওয়াশিংটন উত্তেজনার মধ্যেই একই দিনে ঢাকায় এসেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে. সিসন। আজ শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল। তার কিছুক্ষণ আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। দুজনই দুইদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে. সিসন

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরের শুরুতেই রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রোববার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু, চীনের সহায়তায় দেশে চলমান ও ভবিষ্যৎ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ওয়াং ই। এরপর ৭ আগস্টই ঢাকা ছেড়ে যাবেন তিনি।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল রোববার (৭ আগস্ট) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

বৈঠককালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি এবং রোহিঙ্গা ইস্যুও তুলে ধরা হবে।

মঙ্গলবার মিশেল জে. সিসনের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মিশেল ২ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত ও কুয়েত সফর করবেন। সফরকালে তিনি এসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বহুপাক্ষিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা, বিশ্ব স্বাস্থ্য, মানবাধিকার ও মানবিক সহায়তা, শান্তিরক্ষা ও প্রতিষ্ঠা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা।