দেশের সর্ববৃহৎ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ৮৩ বছর বয়সে ১৮ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান তিনি। তিনি ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কওমি শিক্ষায় অনন্য অবদান রাখা আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বেফাক সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। আব্দুল জব্বার ১৯৭৮ সালে বেফাক-এর প্রতিষ্ঠার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বোর্ডটির দায়িত্বশীল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার পরিবারে তিনি ৩ মেয়ে, স্ত্রী, ৩ ভাই ও ১ বোন রয়েছেন।
মাওলানা আব্দুল জব্বাবের চিকিৎসা সম্পর্কে মুফতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, অনেক দিন ধরে আবদুল জব্বার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে মাওলানার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। আব্দুল জব্বার ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ছাড়াও বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। গত দুই নভেম্বর তাকে খিলগাঁওয়ের খিদমাহ জেনারেল হাসপাতাল থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হলি ফ্যামিলিতে শারীরিক অবনতি হলে ১১ নভেম্বর রাত ১১টায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ সকালে বেফাক মহাসচিবের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, মরহুম মাওলানা আবদুল জব্বারের নামাজে জানাজা বাদ এশা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হজুরের ইচ্ছা অনুযায়ী, তার নিজের কেনা জমি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার সহবতকাঠি গ্রামের মাদ্রাসার পাশেই দাফন করার কথা শোনা গেছে।
১৯৬১ সালে আবদুল জব্বার ঢাকা বড়কাটারা মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীসে পড়াশোনা শেষ করেন। পরে ওখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন যাত্রাবাড়ী জামিয়া মাদানিয়ার। বেফাকে দায়িত্বশীল পদে যোগদানের আগে মাওলানা জব্বার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কওমি মাদ্রাসার এ আলেমের মৃত্যুতে আলেম সমাজসহ সুধী সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।