আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে পাক- হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য মেধাবী ও প্রথম শ্রেনির বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রতি বছরের এ বছরও জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছে তাদের। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আজ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্য হিসেবেই এ দেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একদিন পর রায়েরবাজারের ইটখোলা, মিরপুর বধ্যভূমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বুদ্ধিজীবীদের হাত- পা বাধা ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিষয়ে উইকিপিডিয়ার পাতায় বলা আছে, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মোট ৯৮৯ জন শিক্ষাবিদকে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে ২১ জন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাকিরা ছিলেন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক। এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এক গভীর সঙ্কটের মধ্যে পড়ে যায়।
বাংলাদেশের কাছে নিশ্চিত পরাজয়ের ঠিক দুদিন আগে এমন পৈচাশিক হত্যাযজ্ঞ চালায় হানাদাররা। বাংলাদেশের বিজয়ের পর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ বিনম্র শ্রদ্ধায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।