'সূক্ষ্ম কারচুপি'র অভিযোগ করলেন সাখাওয়াত

দিনভর নানা উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার মধ্যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা 'ছাড়াই' শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ইতোমধ্যে বেসরকারিভাবে প্রায় দ্বিগুণ ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। ভোটগ্রহণ এবং গণনা শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে 'সূক্ষ্ম কারচুপি' হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গ্রহণ এবং গণনা শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শহরের শায়েস্তা খান সড়কে বিএনপির নির্বাচনী মিডিয়া সেলে সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করেন, 'নাসিক নির্বাচনে অনেক ধরণের সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। এসব কারচুপির কারণেই ধানের শীষকে পরাজয় বরণ করতে হচ্ছে।' এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নির্বাচনী পরিচালনা বোর্ডের সদস্য দলটির নেতা আনিসুল ইসলাম সানিসহ তারপক্ষের স্থানীয় নেতারা।

প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই দলই নির্বাচনে নিজ নিজ প্রার্থী দেন। দলগুলো তাদের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারও চালান। সবমিলিয়ে দুই দলের কাছেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনাটা ছিল এক প্রেস্টিজিয়াস ইস্যু। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড় ধরনের কোন অভিযোগ আনেননি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। কিন্তু রাতে সাখাওয়াত বলেন, 'আমি এখনি বিস্তারিত কিছু বলছি না। তবে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। পরে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত ফলাফল দেখে আমি এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানাবো। আমার কাছে খবর আছে, কিছু কিছু কেন্দ্রে সূক্ষ্ম কারচুপির ঘটনা ঘটেছে। অনেক কেন্দ্রে দেখা গেছে মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১ হাজার। কিন্তু গণনায় দেখা গেছে, নৌকা পেয়েছে ৮শত এবং ধানের শীষ পেয়েছে ৫শত। তাহলে অতিরিক্ত ভোটগুলো আসলো কিভাবে?’

তিনি অভিযোগ করেন, 'নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। শুরু থেকেই এ বিষয়ে প্রশ্ন ছিল। নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশেই কাজ করছে। আজ ভোটের মাধ্যমে সেটা প্রমাণিত হলো। কারচুপি করে বদলে ফেলা হলো ভোটের ফল।'

তবে যাই হোক না কেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইভীতেই আস্থা রেখেছেন নারায়ণগঞ্জবাসী। নারায়ণগঞ্জের মোট ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারিভাবে ফল পাওয়া গেছে ১৭৪টিরই। তাতে সেলিনা হায়াত আইভী পেয়েছেন এক লক্ষ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট আর সাখাওয়াত পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭০০ ভোট। ফলে বেসরকারিভাবে আবারো মেয়র নির্বাচিত হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

আপনি আরো পড়তে পারেন

শাখাওয়াতের ভরাডুবি, হেরেছেন নিজের কেন্দ্রেই

আইভীর পক্ষেই জনগণ

বিশাল পরাজয়ের মুখে সাখাওয়াত!

বাংলাদেশের কেনা দুই সাবমেরিন এখন চট্টগ্রামে

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফল ২৯ ডিসেম্বর