খরচ ছাড়াই ৬ হাজার কর্মী নিচ্ছে কাতার

কোনো রকম খরচ ছাড়াই ছয় হাজার কর্মী নেবে কাতার। বাংলাদেশ থেকে নেয়া এই ছয় হাজার কর্মীর যাতায়াত ভাড়া, থাকা-খাওয়াসহ সব ধরনের খরচ বহন করবে নিয়োগকারী ইতালীয় প্রতিষ্ঠান স্যালিনি ইমপ্রিগিলো।

ওই প্রতিষ্ঠানটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে একটি ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরির কাজ পেয়েছে। এছাড়া স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি আবাসিক এলাকা নির্মাণের জন্যও বাংলাদেশ থেকে নেয়া জনশক্তিকে পছন্দের তালিকায় রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ থেকে আল ইসলাম ওভারসিজ জনশক্তি রফতানিকারক হিসেবে কাজ করবে।

তবে কর্মী নেয়ার আগে কাতারের নিয়োগকর্তারা এসে দক্ষ শ্রমিক যাচাই-বাছাই করবেন। আল ইসলাম ওভারসিজ বাংলাদেশে তাদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করবে।

বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে, যাতায়াত ভাড়া, থাকা-খাওয়াসহ বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর এই উদ্যোগটি খুবই ইতিবাচক। অন্যদের এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

আল ইসলাম ওভারসিজ জানিয়েছে, ইতালীয় প্রতিষ্ঠান স্যালিনি ইমপ্রিগিলো শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বিমান ভাড়া, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ সব খরচ বহন করবে। বেতন হবে ৯০০ রিয়াল। দৈনিক কাজের সময় হচ্ছে আট ঘণ্টা। এর বেশি সময় কাজ করতে হলে কাতারের শ্রম আইন অনুযায়ী ওভারটাইম হিসেবে বেতন দেয়া হবে। এছাড়া দুই বছর পর পর দেশে আসা-যাওয়ার টিকিট, ছুটিকালীন বেতন প্রদান করা হবে।

সামনের দুই বছরে প্রায় ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী নিতে চায় কাতার। দেশটি বাংলাদেশের কর্মীরা সাধারণত নির্মাণ শ্রমিক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করে। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের জন্য দেশটির উন্নয়ন কাজ চলছে। তারা বাংলাদেশ থেকে পেশাগত এবং দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়।

জনশক্তি রপ্তানি বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে বর্তমানে ৭০টি ট্রেনিং সেন্টার দেশজুড়ে রয়েছে। জানা গেছে, শ্রমিকদের দক্ষ করতে আরো ৪০টি ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বর্তমানে কাতারে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করে।

উল্লেখ্য, কাতার বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষ শ্রমবাজার। দেশটিতে শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই ১ লাখ ২৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গিয়েছেন। ১ লাখ ১০ হাজার ৬৩৪ জন গিয়েছেন এ বছরের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে হবে:
জনশক্তি, কর্মসংস্থা ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ৮৯/২, কাকরাইল, ঢাকা। ফোন : ৯৩৫৭৯৭২। ওয়েবসাইট: www.bmet.gov.bd