নাসিরনগরে হিন্দুদের ওপর হামলার ‘মূল হোতা’ গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরসহ হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মূল হোতা দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি বৃহষ্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঘটনার প্রায় দুই মাস পর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান নাসিরনগর থানার এসআই ইশতিয়াক আহমেদ।

ওসি ইশতিয়াক জানান, ‘আজ বৃহষ্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ভাটারা থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ তাকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।'

ইশতিয়াক বলেন, 'এতদিন পর্যন্ত তিনি পলাতক ছিলেন। গত রোববার তার দুই সহযোগীকে আটক করার চার দিনের মাথায় ধরা পরলেন আঁখি।’

পুলিশসুত্রে জানা যায়, ‘হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আঁখি যুবলীগের জেলা কমিটির সাবেক সদস্য। বর্তমানে দলে তার কোন পদ নেই। জানা গেছে, মদের ব্যবসাও রয়েছে তার।’

পুলিশ আরও জানায়, হামলার দিন হরিপুর ইউনিয়ন থেকে ১৪-১৫ টি ট্রাক ভরে মানুষ এসে এই হামলা চালায়। ট্রাকে করে আসা এসব মানুষ চেয়ারম্যান আঁখির নির্দেশে হামলা করেছে। তিনিই হামলাকারীদের অর্থের জোগান দিয়েছেন।'

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলাই এই হামলার মূল উদ্দেশ্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি সাংসদ আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সমর্থকরা এই হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নেপথ্যে ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলায় ১০০০ থেকে ১২০০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়। এরপর হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় মোট আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় পুলিশ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।