'শিবির সন্দেহে' রাতভর পিটিয়ে ১২ শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ১২ জন শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতৃকর্মীরা। রাতভর ‘শিবির আটক’ অভিযান চালিয়ে ওই ১২জন শিক্ষার্থীকে ধরে পুলিশে দেওয়ার আগে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ‘শিবির আটক’ অভিযান চালানো হয়। রাত ১২টা পর থেকে শুরু করা হয় এই অভিযান। এরপর ভোর ৪টার দিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ১২জন শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেন ছাত্রলীগ নেতারা।  

এদিকে, আটককৃতদের থানায় নিতে পারেনি পুলিশ। প্রত্যেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ১২ জনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ বলছে আটককৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদী বই, শিবিরের নথিপত্র, দুটি কম্পিউটার ও নগদ ১৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব জব্দ করে পুলিশকে দিয়েছে বলে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টার পর থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এই ‘শিবির আটক’ অভিযানে অংশ নেয়।

এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গেলাম কিবরিয়া বলেন, ‘গোয়েন্দা ও প্রশাসনের কাছ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হলে শিবিরের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছি। পরে অভিযান চালিয়ে ১১ জন শিবির কর্মী ও আরো একজনকে সন্দেহভাজন ভাবে আটক করে পুলিশে দিয়েছি।’ কিবরিয়া যোগ করেছেন, ‘সিলিটে ছাত্রলীগের দুই নেতার উপর হামলা চালানোর সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছে।’

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালালে সকল হলেই আতঙ্ক বিরাজ করে বলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।