স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী জানান, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আগেই জামিনে রয়েছেন। আজকের এ রায়ের পর তিনি দুই মামলাতেই স্থায়ী জামিন পেলেন।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূইয়া আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন। অপরদিকে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দুদকের পক্ষে শুনানি করেন।

খুরশীদ আলম খান জানান, ২০০৮ সালেই খালেদা জিয়াকে এই মামলায় জামিন দিয়ে রুল জারি করা হয়েছে। কিন্তু তখন দুদক পক্ষভুক্ত ছিলো না। দুদক সম্প্রতি আবেদন করে পক্ষভুক্ত হয়েছে।

মামলায় খালেদা জিয়া স্থায়ী জামিন পেলেও যদি জামিনের অপব্যবহার করা হয় তাহলে বিচারিক আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবেন বলে জানান খুরশীদ আলম খান।

উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। মামলায় বলা হয়, অরফানেজ ট্রাস্টে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান –এই ছয়জনকে আসামি করা হয়।