প্রাণভিক্ষার আবেদন নিজ চোখে দেখেছি: আইনমন্ত্রী

ফাঁসির আগে সাকা ও মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, দু’জনের স্বহস্তে লেখা আবেদন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন।

এদিকে বরাবরের মতো সাকা ও মুজাহিদের পরিবার এই দাবিকে অস্বীকার করে এসেছেন। মুজাহিদের ছেলে জানিয়েছেন যে, বিচার ব্যবস্থার অসঙ্গতি নিয়ে তাঁর বাবা একটি চিঠি রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছেন। তবে সেটা ক্ষমা চেয়ে নয়।

এদিকে সাকার পরিবারও প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ব্যাপারটি উড়িয়ে দিয়েছে। সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, বাবা প্রাণভিক্ষা চান নি। এটি সরকারের একটি অপকৌশল।

এদিকে এই প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আবেদনের মধ্যে পরিষ্কার লেখা ছিল বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে, তো এর থেকে আর কি থাকতে পারে বলুন। একেবারে নিজে হাতে, একজন বাংলায় লিখেছেন একজন ইংরেজিতে লিখেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে যখন ৪৯ অনুচ্ছেদের একটি পিটিশন যায়, এটা কিন্তু ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া আর কিছু না।

তবে মুজাহিদের ছেলে মাবরুর জানিয়েছেন, তার বাবা একটি ‘নোটিফিকেশন লেটার’ লিখেছেন। এটাকে আবেদন বলা যাবে না। ওই লেটারে তিনি বিচারের অসঙ্গতিগুলো এবং তাঁকে মৌলিক অধিকারগুলোর ক্ষেত্রে যে বঞ্চিত করা হয়েছে তা জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি কোনোভাবেই প্রাণভিক্ষা চান নি।

এদিকে দুই পরিবারের বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে আইনমন্ত্রী বলেছেন, সংবিধান মোতাবেক প্রাণভিক্ষা চাওয়া ছাড়া রাষ্ট্রপতির কাছে আর কোনও রকম আবেদন করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থার যদি ত্রুটি থাকেই সেটা ওনারা কোর্টে বলতে পারতেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে লেখার কোনও অবকাশ নেই। আমরা যারা এই দরখাস্তটা দেখেছি, আমরা বলছি, ওনারা যদি দরখাস্তটা দেখে থাকেন, ওনাদের কাছে যদি দরখাস্তের কপি থেকে থাকে, দয়া করে ওনারা যেন দেখান যে এটা আর্টিকেল ৪৯ এর আন্ডারে কোনও পিটিশন ছিল না, তাহলেই হোক, আর আমরাটা তো আমার কাছে আছেই। আমার মুখের কথাই যথেষ্ট।

আপনি আরও পড়তে পারেন

সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর

হুম্মাম: বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি

নজরদারিতে বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা