ফেসবুকের সাথে সরকারের বৈঠক 'ফলপ্রসূ' হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান। তিনি বলেছেন, ফেসবুক নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে সংশ্লিষ্টরা।
রোববার সকালে ফেসবুকের উর্ধ্বতন দুজন কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেন স্বরাষ্টমন্ত্রী। তার সাথে আরো ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বৈঠকে ফেসবুকের কারণে কিভাবে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো ঘটনা ঘটে, নারীর প্রতি সহিংসতা সৃষ্টি করা হয় বা কিভাবে অন্য যে কোনো ধরনের অপরাধ ঘটে; তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে সবিস্তারে তুলে ধরা হয়। সরকারের কথা ফেসবুক শুনেছে এবং নোট নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ ছাড়া ধর্মীয় উসকানি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টিতেও ফেসবুক ব্যবহৃত হয়; এ বিষয়টিও জানানো হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে। এসব কিভাবে ঠেকানো যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সরকারের আলোচনার পক্ষে মত দেয় ফেসবুক।
ফেসবুকের পক্ষে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি ম্যানেজার দিপালী লিবারহেন এবং রাজনৈতিক ও আইন শৃঙ্খলা উপদেষ্ট বিক্রম লাং। এ ছাড়া বিটিআরসি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ফেসবুককে সরকারের সাথে বৈঠক করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই বাংলাদেশে এলেন ফেসবুকের দুই কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকানোর কথা বলে গত ১৮ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছে।