পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিমেল দাশ সুপেনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে হত্যার দায়ে অভিযোগে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত। এছাড়াও রায়ে অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড ও আর্থিক জরিমানাও করেছেন আদালত।
বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. সেলিম মিয়া এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি হলেন- নিহতের সম্পর্কে চাচা সুনীল দাশ, মাহমুদুল ইসলাম ও তার ভাই নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, হোসেন প্রকাশ সাগর এবং মোহাম্মদ সেলিম। আসামীদের মধ্যে সুনীল দাশ, মাহমুদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম এবং মিজানুর রহমান কারাগারে আছেন। বাকি ২ আসামী তখন থেকেই পলাতক।
২০১১ সালে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় হিমেল। পরীক্ষার পর ছুটিতে ৮ মে বান্দরবান বেড়াতে যান তিনি। এরপরই নিখোঁজ হন তিনি। পরে হিমেলের পরিবারের পক্ষ থেকে ডবলমুরিং থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পুলিশি তৎপড়তায় ১৪ মে বান্দরবানের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় হিমেলের মৃতদেহ।
প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে দেখা যায় হিমেল জিপিএ-৫ পান। হিমেলের মা পাপিয়া সেন সে সময় গণমাধ্যমকে জানান, পারিবারিক কলহ এবং সম্পত্তি দখলের জন্য তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পেছনে হিমেলের কাকা সুনীল দাশের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তার স্বামী সুশীল কুমার দাশকেও ২০০৬ সালে সম্পত্তির জন্য হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন পাপিয়া।
রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হিমেলের মা পাপিয়া সেন। তিনি জানান, আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়েছে। আমি খুব খুশি। আমি চাই রায়টা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুরে হিমেলের বাবার বাড়ি। তার মা পাপিয়া সেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, বাবা রেলওয়ের সাবেক কর্মকর্তা সুশীল কুমার দাশ। ২০০৬ সালে তিনি মারা যান।