যে পরিমাণ সম্পদ থাকার দাবী করেছিলেন মুসা বিন শমসের, ঠিক সে পরিমাণ সম্পদের প্রমাণ দাখিল করতে না পারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, মুসা বিন শমসের তাঁর সম্পদ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলাটি করেন। দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় সম্পদের বিষয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ২৭(১) ধারায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ দখলে রাখার অভিযোগে এই মামলা করার অনুমতি দিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, গত বছর মুসা বিন শমসের তাঁর দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে বলেছেন, সুইস ব্যাংকে তাঁর ১২ বিলিয়ন ডলার ‘ফ্রিজ’ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া সুইস ব্যাংকের ভল্টে ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা) অলংকার জমা রয়েছে।
এছাড়া বাজার দরে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার মুল্যের ১ হাজার ২০০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে গাজীপুর ও সাভারে। যার বেশির ভাগেরই খাজনা পরিশোধ করে নামজারি করা সম্ভব হয়নি।
২০১৪ সালের জুন মাসে ‘বিজনেস এশিয়া’ নামের সাময়িকীতে মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। যেটিতে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছিলো। সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাঁর ব্যাপারে অনুসন্ধানে নামে।