বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

১৭ মার্চ, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির জন্য একটি অবিস্মরণীয় দিন। আজ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী। সরকারিভাবে দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধামনমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত হৃদয়বান, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে আপসহীন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন সত্তা।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে আমরা জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করেছি। এই দিনে আমি জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আগামী দিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব, সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহাসিক ভাষণ সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। যার ফলে আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।'

দিবসটি উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী পুস্তক ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মাগফিরাত কামনা করে সারা দেশে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা হচ্ছে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

প্রধানমন্ত্রী: প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ হবে

শিকৃবিতে অর্ধশত শিক্ষকের পদত্যাগ

ইয়ং গ্লোবাল লিডার মনোনীত হলেন পলক