সিটি নির্বাচন: আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৫ বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় সোমবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ওয়ারী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হান্নানুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে ইতোমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, রোববার রাতে বিএনপি মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের ৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলা, মারধর ও গোলাগুলি করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আহমেদ। এরই প্রেক্ষিতে এই পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগের আর কে মিশন রোডে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীসহ দুই দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইশরাক হোসেন যখন তার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রোকন উদ্দিন আহমেদ এবং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী লাভলী চৌধুরীর কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগানের এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

পরে নিজ বাসায় তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাসায় ফেরার সময় তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় বিএনপির এক কর্মীকে আটকে রাখে হামলাকারীরা। পরে ওই কর্মীকে উদ্ধার করতে গেলে ফের হামলা চালানো হয়। তখন দলের নেতাকর্মীরা তাকে আড়াল করে সেখান থেকে নিয়ে আসে।