আত্মসমর্পন করে জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

বিএনপির অবরোধ চলাকালিন সময়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে নাশকতার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে বিএনপি চেয়ারপারসন আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চান। পরে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বেগম জিয়াকে জামিনের আদেশ দেন। এছাড়াও বেগম জিয়া নাশকতার তিন মামলাসহ পাঁচ মামলায় জামিন পেয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। বেগম জিয়ার পক্ষে জয়নাল আবেদীনসহ অন্য আইনজীবীরা জামিনের শুনানি করেন। অন্যদিকে, জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু।

আদালতকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না। তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হোক। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এরপর খালেদা জিয়া গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে শুনানি শেষে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত তাকে জামিন নেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষআ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অবরোধ চলাকালিন সময়ে ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুলে একটি গণপরিবহনে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে ২৯ যাত্রি অগ্নিদগ্ধ হন, পরে একজন নিহতও হন। ওই ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে দুটি মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় গত ৩০ মার্চ খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপরই আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চান বেগম জিয়া।

আপনি আরো পড়তে পারেন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে নির্মাণ করা হচ্ছে সীমানা প্রাচীর

দুদকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা!

তারানা হালিম: ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন না করলে সিম বন্ধ