রাজধানীতে মুখোশধারীর ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে এক শিশুকন্যা ও তার মা। মায়ের সন্দেহের ভিত্তিতে শিশুকন্যার বাবাকে অ্যাসিড নিক্ষেপের দায়ে আটক করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর জোর আলোচনা চলছে তবে কি বাবার দেয়া অ্যাসিডেই ঝলসে গেলে তার মেয়ে এবং স্ত্রী?
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলছে। দগ্ধ মা মাহফুজা আক্তারের বয়স ২৮ বছর এবং তার মেয়ে সানজিদা সুলতানার বয়স ৯ বছর।
ঘটনার পর মাহফুজার সন্দেহের ভিত্তিতে তার স্বামী সুরুজ আলম খানকে আটক করা হয়েছে। রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ আলম বলেন, মাহফুজার প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করেছেন তার স্বামী সুরুজ এই ঘৃণ্যকাজটি করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকে অ্যাসিড নিক্ষেপের মতো করুন ঘটনাটি ঘটতে পারে।
মাহফুজার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ছোট্ট পরিবার নিয়ে রূপনগর এলাকার একটি টিনশেডের বাড়িতে থাকেন সুরুজ। বৃহস্পতিবার ভোররোতে মুখোশধারী দুই যুবক বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে। পরে দরজা খুললে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। অ্যাসিডে দগ্ধ হয় মাহফুজা ও তার মেয়ে।
ঢামেক-এর বার্ন ইউনিটের আবাসিক দায়িত্ব পালনরত সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল জানান, মাহফুজার মুখসহ শরীরের ৭ শতাংশ অ্যাসিডে ঝলসে গেছে। আর তার মেয়ে সানজিদাও গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। কত শতাংশ পুড়েছে সেটা পরীক্ষা করা হচ্ছে।