বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে জাতীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) থাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট জারি করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৫ ও ৫০ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এই রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ।
এই রিট জারির ফলে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কলেজ শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক, ভিকারুন্ননেসা স্কুলের অধ্যক্ষ, সভাপতি রাশেদ খান মেননকে আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে রিটের জবাব দিতে হবে।
অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ জানান, একজন মন্ত্রী বা এমপির দায়িত্ব হল সংসদে গিয়ে আইন তৈরি করবেন। কিন্তু তারা অর্থ বাণিজ্যের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। যা সংবিধানের সংঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৫ ও ৫০ ধারা দুটি সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭,২৮,৩১,৬৫ এর সাথে সাংঘর্ষিক। তাই এই দুটি ধারা বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করেছি।