আপনি পড়ছেন

সম্প্রতি ওয়াশিংটন টাইমসে একটি নিবন্ধ লিখেছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তাতে তিনি আলোচনা করেছেন বাংলাদেশকে ডিজিটালকরণ নিয়ে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্তব্য করেছেন যে, এই ডিজিটালকরণই এগিয়ে নিচ্ছে দেশ।

sajeeb wazed joy wrote an opinion in washington times

জয় তার নিবন্ধ শুরু করেছেন কিছুদিন আগে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ হ্যাকিং নিয়ে। বিষয়টি যে বাংলাদেশের ডিজিটাল হওয়ার ব্যাপারে বিশ্বকে ভুল ধারণা দিচ্ছে, জয় তা বলেছেন তার নিবন্ধের শুরুর দিকেই। তারপর আলোচনা করেছেন বাস্তবে বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার পথে কতোটা এগিয়েছে, তা নিয়ে।

বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনতে এবং হ্যাকারদের ধরতে যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র।

২০০৮ সালে নাগরিকরা সরকারি সেবার মাত্র .০৩ শতাংশ ডিজিটালি সম্পাদন করতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশতে- বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা জয়। তিনি লিখেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এভাবেই নাগরিকদের জন্য সরকারি সেবার দ্বার প্রশস্ত করছে।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে শুরু হওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের প্রতিটি স্তরের জনগণের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়া। দেশের অনেক মানুষের বাড়িতে হয়তো ডেস্কটপ কম্পিউটার নেই। তবে ৯৫ শতাংশ নাগরিকের কাছে মোবাইল ফোন আছে।’

জয় তার নিবন্ধে জানান, ২০০৯ সালে তথ্য ও যোগাযোগ খাতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিলো মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডলার। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আয়ের বড় একটা অংশ এখনো আসে গার্মেন্টস খাত থেকে। তবে বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটা খাতে এভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়তে চায় না। এই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই ৭৫ হাজার তথ্য-প্রযুক্তি পেশাদার গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যাতে প্রযুক্তি জগতে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুসংহত হয়।

বাংলাদেশ আসলে কতোটা ডিজিটাল হয়েছে; বলতে গিয়ে জয় লিখেছেন, ‘ডিজিটাল হওয়ার চিহ্ন বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। দেশজুড়ে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলো একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব হেঁটেই অতিক্রম করা যায়। ঢাকার বাইরে ২৩১ একর জমির উপর তৈরি করা হচ্ছে হাইটেক বিজেনস পার্ক। গত বছর ৬০ হাজার স্কয়ার ফুট আয়তনের একটি সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক সূচনা করা হয়েছে। এটি এধরনের সাতটি পরিকল্পিত পার্কের একটি। দেশজুড়ে ডিজিটাল ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের এক লাখ ৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ক্লাস রুম স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে।’

জয় তার লেখায় ঢাকা ভিত্তিক বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে, এই সব উদ্যোগ বাংলাদেশকে বদলে দিবে। লেখার শেষে এসে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে হ্যাকারদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে, এটাই উন্নতির প্রমাণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করছে।’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের আলোচিত নিবন্ধটি গতকাল প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন টাইমস।

 

আপনি আরো পড়তে পারেন

বৃষ্টি আসছে, বলছে পূর্বাভাস

বাংলাদেশে ঘাঁটি তৈরির মিশন আইএসের!

ভূমিকম্পের সময় সচেতন থাকুন

বাংলা নতুন বছর বরণ: দিনভর বাজলো হিন্দি গান

 

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.