শুক্রবার রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ২৩ এপ্রিল শনিবার বিকালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান।
নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহ দুইটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে উল্লেখ করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন খান জানান, নাইস ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলের কক্ষে জোড়া খুনের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত সুমাইয়া নাসরিনের (২১) বাবা আবদুল করিম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আব্দুল করিম গাইবান্ধার গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)।
তিনি বলেন, খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নাইস ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলের চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এনামুল হক। তিনি বলেন, নিহত সুমাইয়া নাসরিনের মাথায় ও মুখে জখমের চিহ্ন করেছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নাসরিনের সঙ্গে থাকা মিজানুর রহমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলাইন।
উল্লেখ্য, গতকাল ২২ এপ্রিল শুক্রবার রাজশাহীর সাহেব বাজারের নাইস ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে তরুণ-তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের হত্যা করা হয়।