টাঙ্গাইলে দর্জি হত্যায় তিনজন গ্রেফতার

সম্প্রতি টাইঙ্গালের গোপালপুরে নিখিল জোয়ারদার নামের এক দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত তিনজনের মধ্যে আছেন স্থানীয় জামায়াতের সেক্রেটারি, বিএনপি নেতা ও একটি মাদরাসার প্রেন্সিপাল।

নিখিল জোয়ারদারের মৃত্যুর ঘটনা নাড়া দিয়ে গেছে পুরো বাংলাদেশকে। কারণ তার মৃত্যুর মাত্র নয়দিন আগে একই কায়দায় খুন হয়েছেন আরো চারজন।

নিখিল হত্যায় বড় প্রতিবেদন করেছে নিউইয়র্ক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে জামায়াতকে রাখা হচ্ছে সন্দেহের শীর্ষে।

টাঙ্গাইয়ের স্থানীয় জামায়াতের যে সেক্রেটারিকে আটক করা হয়েছে, তার নাম আমিনুল ইসলাম। ২০১২ সালে তিনি নিখিল জোয়ারদারের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা করেছিলেন। রাসূল সা. কে নিয়ে অপমানজনক কথা বলায় মামলাটি করেছিলেন আমিনুল। ওই মামলায় কিছুদিন হাজতবাসও করতে হয় নিখিলকে।

এ দিকে নিখিল হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। এ খবর প্রকাশ করেছে জিহাদি ওয়েবসাইটগুলোতে নজরদারি করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স।

কিন্তু কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করেন, বাংলাদেশে ইসলামি স্টেটের কোনো কার্যক্রম নেই। যে হত্যাগুলোতে ইসলামিক স্টেটের সম্পৃক্ততার কথা বলা হচ্ছে, সেই হত্যাগুলোর জন্য তিনি জামায়াত- বিএনপিকে দায়ি করেন।

এ দিকে নিখিল হত্যার ক্লু সন্ধান করতে গিয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ একটি রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকারিরা শার্টটি ফেলে যান। এই শার্ট থেকে এবং আটক করা তিনজনের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে নিখিল হত্যার কুলকিনারা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা আসলাম খান।

আপনি আরো পড়তে পারেন

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মজিবুর রহমানের ইন্তেকাল

১০ কোটি টাকার ক্ষতি, নিয়ন্ত্রণে কাওরান বাজারের আগুন

কাওরান বাজারের হাসিনা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড

সজীব ওয়াজেদ: খালেদা জিয়া একজন মিথ্যাবাদী