করোনার উপসর্গ নিয়ে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টার মৃত্যু

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হক। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার বেসরকারি নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হক

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এম এ হক। পরে বুধবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই আজ শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে ভর্তির সময় তার ভাগিনা ও সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান জানিয়েছিলেন, এম এ হক আগে থেকেই নানা রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গরবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল- ফাইল ছবি

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানান, এম এ হকের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ মোহাম্মদপুর এলাকায়। আজ বাদ আছর সিলেট নগরীর মানিক পীর মাজার সংলগ্ন এলাকায় তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বাদ এশা তার গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এম এ হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।

এম এ হক তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১২ বছর সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৩ ও ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে (সিসিক) মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত তিনি কোনোবারই নির্বাচিত হতে পারেননি। পরে বিএনপির সর্বশেষ কমিটিতে তাকে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা করা হয়।