যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মানা

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় ও সরবরাহে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার ও সরবরাহকারীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার এসব ঠিকাদার ও সরবরাহকারীর সঙ্গে দাপ্তরিক ক্রয় সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য সকল সরকারি হাসপাতালে নির্দেশনা পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর- ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এ ১৪টি প্রতিষ্ঠান সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত না করাসহ বিভিন্ন দুর্নীতি, প্রতারণা ও চক্রান্তমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিলো। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতোমধ্যে মামলা দায়ের করেছে।

এতে আরো বলা হয়, দুদকের সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৯ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়। তার প্রেক্ষিতেই আজ বৃহস্পতিবার এই ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার ও সরবরাহকারীদের কালো তালিকাভুক্ত করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

কয়েক মাস আগেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক

এতে বলা হয়, কালো তালিকভুক্ত এসব প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারীর সাথে কোনো ধরনের দাপ্তরিক ক্রয় বা সরবরাহ সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হলো।

কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও রূপা ফ্যাশনসের মালিক রুবিনা খানম, ম্যানিলা মেডিসিন ও এসকে ট্রেডার্সের মঞ্জুরুল আহমেদ, অনিক ট্রেডার্সের আবদুল্লাহ আল মামুন, এইচএম ফার্মার মোসাদ্দেক হোসেন, আলবিরা ফার্মেসির মো. আলমগীর হোসেন, মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালে মো. আবদুস সাত্তার সরকার ও মো. আহসান হাবিব, বেইর অ্যাভিয়েশনের মো. মোকসেদুল ইসলাম, ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের মো. আসাদুর রহমান, এসএম ট্রেডার্সের মো. মিন্টু, আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মুন্সী ফখরুল হোসেন, অভি ড্রাগসের মো. জয়নাল আবেদিন, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোং-এর মোহাম্মদ জাহের উদ্দিন সরকার এবং এএসএল-এর আফতাব আহমেদ।