যেভাবে ব্যবসায়ীর ৯১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন শাহেদ

করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে পলাতক রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৯১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদ করিম

ভুক্তভোগী গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেগা মোটরসের মালিক জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে তার চাচাতো ভাই মো. সাইফুদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মো. শাহেদ করিম ছাড়াও মো. শহীদুল্লাহ (৬০) নামে ফেনীর ছাগলনাইয়ার এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

তথ্যটি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, মেগা মোটরসের আমদানি করা থ্রি হুইলার্স যানবাহনের ঢাকায় রুট পারমিট পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে রিজেন্টের শাহেদ ও তার সহযোগী শহীদুল্লাহ প্রতিষ্ঠানটির মালিকের কাছ থেকে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও নগদে এই টাকা হাতিয়ে নেন তারা।

এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগদে ৩২ লাখ টাকা নিয়ে যান। বাকি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঢাকার উত্তরা অ্যাভিনিউ গেট শাখায় জমা হয়।

দণ্ডবিধির ৪৭৮, ৪৭১, ৪২০ ও ৩৪ ধারায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আগে থেকেই পরিচিত শহীদুল্লাহর মাধ্যমে রিজেন্টের মো. শাহেদের সঙ্গে মেগা মোটরসের মালিক জিয়াউদ্দিনের পরিচয় হয়। পরে শহীদুল্লাহর মাধ্যমেই ঢাকায় রুট পারমিট পাইয়ে দেয়ার জন্য নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব অর্থ তাকে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ রিজেন্টের শাহেদ বিআরটিএ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রের ফটোকপি দেন। যা পরে জাল বলে প্রতীয়মান হয়। এ ঘটনার পর শাহেদ বিভিন্ন সময়ে টাকা দেবেন বলে কালক্ষেপণ করেন। টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময়ে জিয়াউদ্দিনকে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে মেগা মোটরসের মালিক জিয়াউদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।