চিরনিদ্রায় শায়িত নুরুল ইসলাম বাবুল

চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন দেশের অন্যতম বড় শিল্প প্র‌তিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুল। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

বনানী‌তে চিরনিদ্রায় শায়িত নুরুল ইসলাম বাবুল

এর আগে যমুনা ফিউচার পার্ক মসজিদ প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী, গুণগ্রাহীসহ অসংখ্য মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাজা সম্পন্ন হয়।

এ সময় মরহুমের জন্য দোয়া কামনা করে তার ছেলে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন, আজ যেখানে জানাজার নামাজ পড়ানো হচ্ছে, এটা বাবার নিজ হাতে করা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ৪৫ বছরে তিলে তিলে তি‌নি এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, বাবার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে অনেক সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষা ছিল। পথটি মোটেই সহজ ছিল না। তারপরও এই চলার পথে কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন কিংবা ভুল বুঝে থাকেন, তাহলে বাবার পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই বাবাকে ক্ষমা করে দেবেন।

নুরুল ইসলাম বাবুল

যমুনা গ্রুপের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কেউ মনোবল ভাঙবেন না। আমরা একটি পরিবার হিসেবে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন নুরুল ইসলাম বাবুল।

তার স্ত্রী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম। ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিন মেয়ে- রোজালিন ইসলাম, মনিকা ইসলাম এবং সনিয়া ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক।

যমুনা ফিউচার পার্ক মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা

১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে পথ চলা শুরু করেন বিশিষ্ট এই শিল্পপতি। নিজের মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার মাধ্যমে একে একে গড়ে তোলেন ৪১টি প্রতিষ্ঠান। সেগুলোতে বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছেন। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কও তারই প্রতিষ্ঠান।