এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ছিলেন না স্ত্রী-সন্তান কেউই

আজ ১৪ জুলাই ২০২০, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে যান এই সামরিক শাসক। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রংপুরে দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এতে উপস্থিত ছিলেন না এরশাদের স্ত্রী-সন্তান কেউই। তাদের ছাড়াই প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রংপুরের পল্লী নিবাসে সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। এ সময় সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন ও কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এরশাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, যুগ্ম-মহাসচিব এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাকসহ জাতীয় পার্টি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ

তবে এরশাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র উপস্থিত ছিলেন তার ভাই জিএম কাদের। সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রওশন এরশাদ, পুত্র রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহী সাদ এরশাদ ও ভাতিজা জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আসিফ শাহারিয়ারসহ পরিবারের আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন বলেন, সাদ এরশাদ ঢাকায় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন। তাই রংপুরে আসতে পারেননি। তবে দুই-একদিনের মধ্যে রংপুরে এসে কবর জিয়ারত করবেন। আর পরিবারের বাকি সদস্যদের অনুপস্থিত থাকা সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।