উপকূল পেরিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ছে রোয়ানু

উপকূল ছুঁয়ে ছুঁয়ে বাংলাদেশ ছাড়ছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এই ঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি জেলার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরোপুরি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বহু ইউনিয়ন- গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাস্তা ঘাটে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ঘটেছে পাহাড়ধসের ঘটনাও।

এ দিকে ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো চট্টগ্রাম। বেলা একটা পরপরই উপকূলে আঘাত হানে রোয়ানু। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিলো এই ঝড়। ফলে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা আরো বেশি থাকলেও, তা হয়নি। কিন্তু যদি ২০০ বা ২৫০ কিলোমিটার গতি হতো রোয়ানুর, মানবিক বিপর্যয়ের মুখেই পড়তে হতো বাংলাদেশকে।

তারপরও যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। প্লাবিত হয়ে গেছে বহুগ্রাম। লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে লোনা পানি। এ ছাড়া ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়িগুলোর ফের ওঠে দাঁড়াতেও লেগে যাবে বহু সময়।

রোয়ানুর দুর্বল হয়ে যাওয়া বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসার পথে প্রচুর বৃষ্টি ঝড়িয়েছে এই ঝঢ়। ফলে আশঙ্কার চেয়ে কমে গেছে এর শক্তি। বৃষ্টিপাতের ফলে এমনিতেই ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে আসে বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

এ দিকে দুপুর ১২টার পর উপকূলের ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এর ঘণ্টার মধ্যেই আঘাত আসে উপকূলে। রোয়ানু নিয়ে আবহওয়া অধিদপ্তের দেয়া বুলটিনে এমন পূর্বাভাসই দেয়া হয়েছিলো। এর আগে রাতে একবার বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এতে ধ্বংস হয়ে গেছে কয়েকশ ঘর। হতাহতও হয়েছেন অনেক মানুষ। জানা গেছে চট্টগ্রাম, পটুয়াখালি ও ভোলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পটুয়াখালিতে ঘর চাপায় মারা গেছেন নয়া বিবি নামে ৫০ বছরের এক নারী। ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন রেখা বেগম (৩০) ও আক্রম হোসেন (৪৫)। নিহত আরো দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

রোয়ানুর গতিবিধি লক্ষ্য করে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ পার হয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মায়ানমার ও ভারতের আসামে আঘাত হানতে পারে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

চট্টগ্রাম পার হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু

হোমিও চিকিৎসক খুন, দায় স্বীকার আইএসের

বাংলাদেশের খুব কাছে রোয়ানু, দুপুরের পরই হতে পারে বিপর্যয়

রোয়ানুর আঘাত: অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৫