ওসিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

এবার ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে আজ সোমবার তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানা- ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ওই থানা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী সোহেল। পরে আাদালতের বিচারক মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

মামলাটি তদন্তভার পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি দ্রুত তদন্ত শেষ করে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক।

মামলার আসামিরা হলেন- রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান, উপ পরিদর্শক (এসআই) খালিদ শেখ (৪৫), এসআই পবিত্র সরকার (৪৫), সহকারী উপ পরিদর্শক শাহিনুর রহমান (৪২), কনস্টেবল মো. মিজান (৫২) ও সোর্স মোতালেব।

পুলিশ- প্রতীকী ছবি

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯/৩৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৪৭ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক)(খ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২ আগস্ট কোতোয়ালি থানা এলাকার ওয়াজঘাটে কাপড় ব্যবসায়ী সোহেলের গতিরোধ করেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। এরপর তার দেহ তল্লাশি করে পকেটে থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে নেন। এ সময় সোহেল টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা তাকে জেএমবি বানিয়ে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেন। পাশপাশি তার পকেটে ২১৪ পিস ইয়াবা দিয়ে থানায় নিয়ে যান।

পরে খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় আসলে অভিযুক্তরা তাদের কাছে সোহেলের মুক্তির জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পাশপাশি হুমকি দেন দাবিকৃত টাকা না পেলে তাকে মাদক মামলায় ও জেএমবি বানিয়ে আদালতে চালান করে দেবেন। এরপর সোহেলের পরিবার অভিযুক্তদের ২ লাখ টাকা দিলে পুলিশ তাকে নন-এফআইআর মূলে আদালতে চালান করে দেন। পরে তিনি আদালত থেকে বের হলে ঘটনা প্রকাশ করলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা তাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, তিনি মামলার বিষয়টি শুনেছেন। তবে চাঁদাবাজি দাবির কথা তিনি জানেন না।