চার পুলিশসহ ৭ আসামি র‌্যাব হেফাজতে

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় রিমান্ডপ্রাপ্ত চার পুলিশ সদস্যসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ- ফাইল ছবি

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল কামাল হোসেন, সাফানুর করিম ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াস ও নিজাম উদ্দীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত ওই সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকাল ১০টার দিকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যায় র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের আগে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কথা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, এই সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার অপর তিন আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক (ইনচার্জ) লিয়াকত আলি ও সাময়িক বরখাস্তকৃত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে রিমান্ডে নেওয়া হবে। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

গ্রেপ্তারকৃত তিন সাক্ষী- ফাইল ছবি

এর আগে গত বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার পুলিশ সদস্য ও টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া এলাকার ওই তিন বাসিন্দার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ। তার আগের দিন মঙ্গলবার বাহারছড়ার এলাকা থেকে নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াস ও নিজাম উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারা তিনজনই মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর মেজর সিনহাকে ডাকাত বলে প্রচার করেছিলো।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই সময় বলা হয়, রাশেদ সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। এরপর তিনি ‘পিস্তল বের করলে’ দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথাও জানায় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।

পরে ঘটনার বিচার চেয়ে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।