অন্য দলের জনপ্রিয়দের ‘সদস্য করতে চায়’ আ. লীগ

কেবল জামায়াতে ইসলামি ছাড়া অন্য যেকোনো দলের জনপ্রিয় নেতাদের দলে নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে তাদের দলীয় সদস্য ছাড়া অন্য কোনো পদে রাখা হবে না বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জেলা কমিটি গঠনে উদ্যোগ নেয়া হলেও আগামী ডিসম্বরের আগে তা হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের দুজন নীতি নির্ধারণী নেতা টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে বলেছেন, জামায়াত ছাড়া অন্য কোনো দলের স্থানীয় জনপ্রিয় নেতা আওয়ামী লীগে যুক্ত হতে চাইলে নেয়া হবে। এতে তৃণমূলে দল অনেক শক্তিশালী হবে। তবে তাদের কোনো অবস্থাতেই কোনো পদে রাখা হবে না। বিষয়টি দেখভাল করবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিটি।

কেন্দ্রীয় অন্য দুজন নেতা জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে সেখানকার কিছু জনপ্রিয় নেতাকে দলে নেয়ার জন্য কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা নানা কারণেই থমকে আছে। বিশেষ করে, জেলা কমিটিতে বিরোধসহ নানা সমস্যায় আটকে আছে নতুন কমিটি দেয়াও। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এটি আরো দীর্ঘায়িত হয়েছে।

এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক কাজে গতি আনতে জেলায় নতুন কমিটি দেয়ার উদ্যোগ নেয়। বেশ কিছু জেলা থেকে এরই মধ্যে কেন্দ্রে প্রস্তাবিত কমিটির নামের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে, আরো কিছু জেলার নেতৃত্বের তালিকা জমা পড়বে। কিন্তু এসব কমিটি সহসাই অনুমোদন পাচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা

দায়িত্বশীল একাধিক নেতা টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে জানান, কেন্দ্রে জমা পড়া জেলা কমিটিগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে তিন মাসের বেশি সময় লেগে যাবে। এ ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানের নির্দেশে বিরোধপূর্ণ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব দেয়া হবে।

জানা গেছে, কেন্দ্রে জমা পড়া জেলা কমিটিগুলো যাচাই করতে ৮ বিভাগে ৮টি সাংগঠনিক কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিই পুরো বিষয়টি তদারকি করবে। জেলা সফর, সম্মেলন অনুষ্ঠান ও বিরোধ মেটাতে কাজ করবে তারা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, কেন্দ্রে জমা পড়া জেলা কমিটি যাচাই করবে বিভাগীয় কমিটি। তারা চূড়ান্ত করার পর নেত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তবে সার্বিক বিবেচনায় আগামী ডিসেম্বরের আগে এসব কমিটি হওয়ার কোনো সম্ভাব না দেখছি না।

আর দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, নতুন কমিটি করতে দিতে হবে এমন বেশিরভাগ জেলার কমিটি কেন্দ্রে জমা পড়েছে। বাকিগুলোও আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে জমা পড়বে বলে আশা করছি।