বাণিজ্যমন্ত্রী: হয়তো আমাদের নৈতিকতার সংকট দেখা দিয়েছে

বর্তমানে দেশে পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তার পরও বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে আরো সাড়ে পাঁচ লাখ টন আমদানি করা হবে। বুধবার নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই, তাই এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই। কেউ আতঙ্কিত হয়ে বেশি দামে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনবেন না। বর্তমানে পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে এবং আরো সাড়ে পাঁচ লাখ টন আমদানি করা হবে।

আগামী এক মাসের মধ্যে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন বন্দরে আসতে শুরু করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পণ্যটির আমদানি অব্যাহত থাকবে। সেই লক্ষ্যেই এখন কাজ করছি। কাজেই পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি হবে না।

জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকারের অনুরোধে বিনা মুনাফায় দেশের শীর্ষ ৫টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ এবং বিএসআরএম গ্রুপ প্রতিমাসে ৩২ হাজার টন হিসেবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করে বাজারে ছাড়বে। এ ছাড়া ৩০০-৩৫০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে মোট চার লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে, যোগ করেন মন্ত্রী।

পেঁয়াজ

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর দিনই পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে হয়তো আমাদের মানবিকতা ও নৈতিকতার সংকট দেখা দিয়েছে। তাই সুযোগ বুঝেই দাম বাড়িয়ে দিতে ব্যবসায়ীদের একটুও দেরি হয় না।

এই সংকট মোকাবেলায় আমদানি নির্ভরতা কমানোর বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। সে জন্য পণটির সংরক্ষণে হিমাগার নির্মাণে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। যদি ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৫-৬টি হিমাগার নির্মাণ করা যায় এবং সেগুলোতে দুই থেকে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারি, তাহলে সংকট মোকাবেলা সহজ হবে।