আমরণ অনশনে রায়হানের মা

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান নামে এক যুবক মৃত্যুবরণ করেন। এবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব পুলিশ সদস্যের ফাঁসির দাবিতে ওই ফাঁড়ির সামনের রাস্তায় আমরণ অনশনে বসেছেন নিহত রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম ও তার স্বজনরা।

আমরণ অনশনে বসেছেন নিহত রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম ও তার স্বজনরা

আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে তারা সেখানে এই অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। রায়হানের মায়ের সঙ্গে আছেন তার মামা, খালাতো ভাই, নানি এবং অন্যান্য স্বজনরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সন্তান হারানো মা সালমা বেগম বলেন, যে আসামিরা পুলিশ হেফাজতে আছেন, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এদের রিমান্ডে নিলে ঘটনায় জড়িত সবার নাম বেরিয়ে আসবে। প্রধান অভিযুক্ত ও ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

সব দোষীদের গ্রেপ্তার করার আগ পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে এখানে হত্যা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমিও এখানেই মারা যাবো।

নিহত রায়হান আহমদ

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। পরদিন রোববার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার গত ১২ অক্টোবর রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় কয়েকজনকে আসামি করে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা করেন।

প্রধান অভিযুক্ত ও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে কমিটি রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায়।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ওই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।