নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানো হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া
অবশ্য পূর্ব নির্ধারিত আদেশ অনুযায়ী, আজ ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন অসুস্থ থাকায় তার আইনজীবী নতুন সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের করা ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকেও আসামি করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ আরো ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।