বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের বিপণন প্রতিষ্ঠান ‘মেঘনা পেট্রোলিয়াম’ তাদের বিপণন করা ফার্নেস অয়েলে মাত্রাতিরিক্ত পানি মেশায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মাত্রাতিরিক্ত পানি থাকায় ফেরত আসা ১০ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল পরিশোধন ছাড়াই নিজেদের মূল ট্যাংকারে মেশানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেন, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) শেখ আবদুল মতলেবের মতলববাজিতেই এসব ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো থেকে ১০ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে ‘ওটি ওশান স্টার’ নামের একটি জাহাজ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখেন, তাতে মাত্রাতিরিক্ত পানির অস্তিত্ব রয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ০ দশমিক ৭ শতাংশ।
ফলে এই অয়েল কোনোভাবেই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের উপযোগী নয় বিধায় সেগুলো আবারও চট্টগ্রামের মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ডিপোতে ফেরত পাঠানো হয়।
তথ্যটি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার বাঘাবাড়ী ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের স্টোরকিপার জাহাঙ্গীর জানান, চট্টগ্রামের মেঘনা ডিপো থেকে ফার্নেস অয়েল নিয়ে একটি জাহাজ এসেছিলো এবং সেটিতে থাকা ফার্নেস অয়েল ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে, তাতে মাত্রাতিরিক্ত পানির উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাই এগুলো আবার ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ‘ওটি ওশান স্টার’ জাহাজের মালিক, মাস্টার ও সুপারভাইজারের যোগসাজশে মাত্রাতিরিক্ত পানি মেশানো ওই ফার্নেস অয়েল আবারও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মূল ট্যাংকারে মেশানোর ব্যবস্থা করেছেন শেখ আবদুল মতলেব। এমনটা হলে সব ফার্নেস অয়েলেই পানি মিশে যাবে। যা দিয়ে পরবর্তীতে কোনো কাজ করা যাবে না।
তবে যোগাযোগ করা হলে ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শেখ আবদুল মতলেব। তিনি জানান, মাত্রাতিরিক্ত পানি পাওয়ায় তা ফেরত পাঠানো এবং পরিশোধন ছাড়াই মূল ট্যাংকারে ফার্নেস অয়েল মেশানোর পুরো বিষয়টি তার জানা নেই।
এ বিষয়ে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) আহসান হাবীব তমাল জানান, প্ল্যান্টের জন্য পাঠানো ফার্নেস অয়েল ফেরত এসেছে। তেলের কোয়ালিটি ঠিক নেই। তাই তারা এগুলো ফেরত পাঠিয়েছেন।