আগামী মার্চ-এপ্রিলে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। আজ বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চীন সরকারের দেয়া চাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীনের মধ্যস্থতায় ভেরিফাইড হওয়া ৪১ হাজারের বেশি নাগরিককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং চীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
মিয়ানমার অনুধাবন করতে পেরেছে যে, রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নেয়া দরকার। বাংলাদেশও চায়, তারা সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব নিয়ে ফিরে যাক এবং চীন সরকারও চায় বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের ফিরে যাওয়া উচিত, যোগ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প
বৈঠকে বাংলাদেশ দাবি করেছে যে, তাদের গ্রাম বা এলাকাভিত্তিক প্রত্যাবাসন হোক, জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিন্তু মিয়ানমার সরকার এটা চায় না। তাদের ইচ্ছে, যে তালিকা ভেরিফাইড হয়েছে সেই অনুযায়ী ফেরত নেয়া হবে। তবুও আগামী বৈঠকে আরো সমাধান আসবে বলে আশা করছি। তিন পক্ষেরই আশা, মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে এবং সেই অপেক্ষায় আছি।
চীন ও মিয়ানমারের ইচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে তা বজায় রাখা- এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সকল সমস্যা সমাধানে পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নাগরিকদের রাখাইনে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করে যাবে।
এনামুর রহমান বলেন, চীন-বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, তেমনি মিয়ানমারের সঙ্গেও তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাছাড়া মিয়ানমারের উন্নয়নে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই জায়গা থেকে তারা চাইলে মিয়ানমার সরকারকে প্রভাবিত করতে পারবে বলেই বিশ্বাস করি।