ডিএনসিসি মেয়র: দখলদারদের ছাড় দেয়া হবে না

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন স্থাপনা দখল করে রাখা কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। যেকোনো সময় এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপস্থিত থেকে দিক-নির্দেশনা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম

মিরপুর সেকশন ১১-এর এভিনিউ ৩ এর ৪ নম্বর রোডে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিদর্শনকালে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন মেয়র আতিকুল।

এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৪ নম্বর সড়কে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় সড়কের উভয় পাশে প্রায় ৪ শতাধিক স্থায়ী, অস্থায়ী, ভাসমান স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে টিনের তৈরি, ইট-সিমেন্টের তৈরি পাকা ঘর, দোকান-পাট, তোরণ এবং শেড ইত্যাদি ছিল।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল ২) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। এ ছাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযানস্থলে উপস্থিত থেকে দিক-নির্দেশনা দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসির অবৈধ স্থাপন উচ্ছেদ অভিযান

অভিযান চলাকালে দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। বলেন, এটি দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত একটি রাস্তা। কিন্তু এতদিন তা প্রশস্ত করতে পারেনি আমরা। কালশীর রাস্তা বেশ প্রশস্ত করে আমরা নির্মাণ করেছি। যে রাস্তাটিতে আজ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, এটি একটি সংযোগ সড়ক। এই সড়কটি অনেক আগেই প্রশস্ত করার কথা ছিল, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি।

এই রাস্তার প্রশস্ততা ৬৫ ফুট থেকে ৭৫ ফুট। এই এলাকার জনগণের সহায়তায় আজ আমরা দখলদারদের হাত থেকে রাস্তাটি উদ্ধার করেছি। আমরা এটি প্রশস্ত করবো। সেটা করা হলে মিরপুর থেকে খুব সহজে এয়ারপোর্টের দিকে যাওয়া যাবে। এটি হবে একটি কানেকটিং রোড, বলেন ডিএনসিসি মেয়র।

দখলদারদের নোটিস দেওয়া প্রসঙ্গে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা সরকারের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রাখবে, তাদের নোটিস দেওয়া ছাড়াই উচ্ছেদ করা হবে। ঢাকা শহরে নোটিস দিয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। কেউ সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রাখলে তার জন্য আমি বা সিটি করপোরেশন দায়ী না, বরং সেই দখলকারীই দায়ী।

এ সময় ডিএনসিসি মেয়র উচ্ছেদ অভিযান সফল করায় স্থানীয় জনসাধারণ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম এবং প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক প্রমুখ।