এমপি হারুন: এর মাশুল দেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসির ফল প্রকাশ সংক্রান্ত সংশোধিত আইন আজ রোববার পাস করেছে জাতীয় সংসদ। করোনার মহামারির কারণে করা এই আইন অনুযায়ী, এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে আর কোনো বাধা নেই।

সংসদে বক্তব্য দিচ্ছেন এমপি হারুন, ফাইল ছবি

তবে সংসদে বিলটি পাস না করে তা জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব দেন বিএনপির হারুন উর রশীদ। তিনি বলেন, অটোপাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মেধাবী শিক্ষার্থীরা। বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য রুমিন ফারহানাও একই মত প্রকাশ করেন।

সংসদের উদ্দেশে হারুন উর রশীদ বলেন, পরীক্ষা থেকে ছিটকে পড়েছে আমাদের ছেলে-মেয়েরা। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে হলেও আমরা যদি অন্তত পরীক্ষার একটা ব্যবস্থা করতে পারতাম, তাহলেও অন্তত পক্ষে আমাদের ছেলে-মেয়েদের বাড়িতে পড়ার টেবিলে বসানো সম্ভব হতো। আইন পাস করে আজ আমরা অটোপাস দিয়ে দিলাম। কিন্তু আজকের এই সিদ্ধান্তের মাশুল দেবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ফাইল ছবি

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, যদিও আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত ছিল পরীক্ষার জন্য। তবে এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, একই অবস্থা গোটা বিশ্বেই। যাদের আমরা উন্নত বিশ্ব বলি, অনেক সময় আমরা যাদের ফলো (অনুসরণ) করার চেষ্টা করি, সেসব দেশেও কিন্তু একই অবস্থা। ওইসব জায়গাতেও অটোপাসের ফলাফল দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের চিন্তা-ভাবনা ছাড়া হঠাৎ করেই কিন্তু আমরা এ সিদ্ধান্ত নেইনি। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের কোভিড-১৯ সংক্রমিত হওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল, এখন পর্যন্ত আমরা তা থেকে তাদের দূরে রাখতে পেরেছি। আমাদের যে প্রচেষ্টা ছিল তাদের রক্ষা করার, তা আমরা করেছি। আমরা সফল হয়েছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, এখানে বলা হয়েছে, মেধাবীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেক সময় হয়তো অনেকে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে না এটা ঠিক, তবে অন্য কোনো জায়গায় বা অন্য কোনো একটি পেশায় হঠাৎ করে অনেক ভালো করে। কিন্তু এটা সব সময় হয় না।

তিনি বলেন, মেধাবীদের একটা ধারাবাহিকতা থাকে। পূর্বের দুটি পাবলিক পরীক্ষা অর্থাৎ এসএসসি এবং জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা ফলাফল দেব। যারা মেধাবী এই দুটি পরীক্ষায় তারা কিন্তু ভালো ফলাফল করে। এই দুই পরীক্ষায় তারা তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে এসেছে। সুতরাং শুধু মেধাবীরা নয়, কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।