গুলশান সংকটে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি এবং তিনজন বাংলাদেশি আছেন। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর থেকে জানা গেছে, ১৭ জন বিদেশির মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি এবং একজন ভারতীয়।
নিহত তিন বাংলাদেশি হলেন ইশরাত আকন্দ, ফারাজ হোসেন ও অবন্তিকা কবির। এদের মধ্যে ইশরাত ছিলেন ইন্সটিটিউট অব এশিয়ান ক্রিয়েটিভসের কর্মকর্তা। শিল্পকলা নিয়ে কাজ করতেন তিনি। ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি ছিলেন ফারাজ। তিনি দুই বন্ধুকে নিয়ে এসেছিলেন হালি আর্টিজানে। আর অবন্তিকা ফারাজেরই বন্ধু বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছিলেন।
ফারাজ ও অবন্তিকার সাথে ছিলেন ভারতীয় তরুণী তারুশি। নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হচ্ছে, হিজাব পরিহিত কয়েকজন তরুণীকে বের হয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয় সন্ত্রাসীরা। তাদের এই সুযোগের প্রস্তাব ছিলো ফারাজের প্রতিও। কিন্তু পশ্চিমা পোশাক পরা দুই বন্ধু অবন্তিকা ও তারুশিকে রেখে তিনি বেরিয়ে আসতে অস্বীকৃতি জানান।
নিহত ইতালিয়ান নাগরিকরা হলেন নাদিয়া বেনেডেট্টি, ক্রিশ্চিয়ান রসি, মার্কো টনডাট, আডেলে পাগলিসি, ক্লডিয়া মারিয়া ডি’অ্যান্টোনা, সিমোনা মন্টি, মারিয়া রিভলি, ভিনসেনযো ডি’অ্যালেস্ট্রো এবং ক্লডিও চ্যাপেল্লি। এরা সবাই কাজের সূত্রে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন।
নিহত জাপানি নাগরিকরা হলেন তানাকা হিরোশি, শাকাই ইউকু, ওগাসাওয়ারা, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, হাশিমাতো হিদেইকো ও শিমুধুইরা রুই। এরা ছয়জন বাংলাদেশ সরকারের মেট্রোরেল প্রকল্পে কাজের সূত্রে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।