‘প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়ে বললেই আইন বাতিল করতে হবে- তা নয়’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে যারা প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে সবসময় বক্তব্য রাখেন তারা বললেই যে সেটি করতে হবে, তা কিন্তু নয়- বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

নাগরিক সমাজ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উনারা কয়েকজন নাগরিক মিলে এটা বলেছেন। বাংলাদেশে আরো বহু নাগরিক আছে।

তিনি বলেন, নাগরিক বলতে শুধু কয়েকজন যারা বক্তৃতা করেছেন কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদেরকে বুঝায় না। দেশে আরো বহু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নাগরিক আছে। মাত্র কয়েকজন প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তারা বললেই যে সেটি করতে হবে, তা কিন্তু নয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানুষের নিরাপত্তার জন্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, একটা সময় এই ডিজিটাল বিষয়টা ছিল না। তখন কিন্তু আইনের প্রয়োগও ছিল না। ডিজিটাল বিষয়টা আসার পরই নিরাপত্তার প্রসঙ্গটা এসেছে। ভারতসহ আরো অনেক দেশেই এ ধরনের আইন আছে এবং সেখানে শাস্তি হচ্ছে, গ্রেপ্তারও হচ্ছে। তবে আইনের অপপ্রয়োগ রোধে সতর্ক আছি এবং থাকবো।

কোনো আইনে যদি কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে স্বাভাবিক বা অন্য কারণে মৃত্যুবরণ করেন, আর সে জন্য যদি আইন বাতিল করতে হয়, তাহলে তো বাংলাদেশের সব আইন বাতিল করতে হবে। কারণ অন্যান্য আইনেও মানুষ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে মারা যাচ্ছেন, যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এরপর হত্যাকারীদের তিনি পুনর্বাসিত করেছেন। এমনকি যারা বাংলাদেশ চায়নি ও পাকিস্তানিদের পক্ষ হয়ে গণহত্যা করেছে তাদেরকে তিনি মন্ত্রী বানিয়েছেন।

''মুক্তিযুদ্ধকালীন থেকে শুরু করে এবং পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ড সাক্ষ্য দেয় যে, তিনি আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। এ কারণেই তার খেতাব বাতিলের প্রসঙ্গ এসেছে। অবশ্য এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।''