চোরাই সিএনজির রং-নম্বর প্লেট পাল্টে বিক্রি

দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই সিএনজি সংগ্রহ করার পর রং ও ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেট পাল্টে বিক্রি করে আসছিল একটি অসাধু চক্র। সেই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আটককৃতদের সঙ্গে সিআইডির সদস্যরা

বুধবার রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকার শাহ আলমের গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক। আটককৃতরা হলেন চালক শাহ আলম ও টেকনিশিয়ান মো. জামাল।

সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, যাত্রাবাড়ীতে শাহ আলমের গ্যারেজে চোরাই সিএনজি আনার পর তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন এবং বিক্রি করা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালাই। এ সময় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে গ্যারেজের মালিক শাহ আলম এখনো পলাতক এবং তাকে ধরতে অভিযান চলছে।

তিনি বলেন, চক্রটি পরস্পরের যোগসাজশে চোরাই সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট ও জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিল। অভিযানে পাঁচটি সিএনজি জব্দ করেছি। এগুলো কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

এসব এলাকা থেকে চোরাই সিএনজি প্রথমে ঢাকার কাঁচপুরে আসে এবং সেখান থেকে সিএনজি চালিয়ে নিয়ে আসা হয় শাহ আলমের গ্যারেজে। পরে ভুয়া নম্বর প্লেট ও রং লাগিয়ে বিক্রি করা হয়। শাহ আলম গত দুই মাসে এমন ১৫-২০টি সিএনজি বিক্রি করেছেন। সেগুলোতে যে নম্বর প্লেট আছে তা বিআরটিএর নয় এবং কাগজপত্র সব ভুয়া, যোগ করেন সিআইডি এই শীর্ষ কর্মকর্তা।