জীবন-জীবিকা চালু রাখা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

করোনা নিয়ন্ত্রণে আরোপ করা লকডাউনে দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবন-জীবিকা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়া রোধ করতে কঠোর দৃষ্টি রাখছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অর্থনীতির সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় গত বছরের নেয়া চারটি কার্যক্রম অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার। কল-কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন পেশার নিম্ন আয়ের প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে- দিনমজুর, শ্রমিক, হকার, রিকশাচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইমাম-মোয়াজ্জিনসহ, ধর্মীয় সেবাদানকারী ও সাংবাদিক।

‘সরকার সব সময় জনগণের পাশে আছে, শঙ্কিত হবেন না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, দরিদ্র-নিম্নবিত্ত মানুষদের সহায়তায় কার্যক্রম নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পল্লী এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ৮০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য দেয়া হয়েছে প্রায় ৬৭২ কোটি টাকা।

করোনার নতুন স্ট্রেইন, ফাইল ছবি

করোনা টিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা উৎপাদনের শুরুতে উল্লেখযোগ্য টিকা নিয়ে আসতে পারা আমাদের সৌভাগ্য। ৫৬ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া।

পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিকা নিলেই সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা নেই। সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, সাবধানে থাকতে হবে।

এদিন লকডাউনে ঘরে বসে পয়লা বৈশাখ পালনের কথা জানিয়ে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মোবারকবাদ জানান।

বাংলা নববর্ষে গেলোবারের মতো এবারও বাইরে অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে পয়লা বৈশাখের আনন্দ ঘরে বসেই উপভোগ করতে হবে।