কাদের মির্জা: তার স্ত্রী হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবার তার বড় ভাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গেছেন। বলেছেন, তাকে কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আবদুল কাদের মির্জা, ফাইল ছবি

কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের আজকে তার বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তার দুর্নীতিবাজ স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে স্ত্রীকে বাঁচানোর কোনো সুযোগ নেই।

শুক্রবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন মির্জা কাদের।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সত্য ঘটনা উদঘাটন হোক, সেটা ওবায়দুল কাদের করতে দিচ্ছে না। এ জন্য আজ সংবাদপত্রগুলোর মুখ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।

বড় ভাইয়ের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, তার (ওবায়দুল কাদের) কী স্বার্থ? সে কি আমাদের হত্যা করতে চায়। বলে দিচ্ছি, এটার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।

তোমার খাইও না, পরিও না- উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তোমার প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী সামলাও বলে দিচ্ছি। তুমি আমাদের জেলে নেবে, হত্যা করবে? তোমাকে আমরা ভয় করি না।

আবদুল কাদের মির্জা, ফাইল ছবি

বড় ভাইকে উদ্দেশ করে বসুরহাট পৌর মেয়র আরো বলেন, আমার একটা ভাই তোমার কারণে ফাঁসি দিয়ে মারা গেছে। তোমার স্ত্রী আজকে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে তোমার শ্বশুর পক্ষের লোকজন। বলেছিলে আমার কর্মীদের চাকরি দেবে, কিন্তু একজন কর্মীরও চাকরি হয়নি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেন কাদের মির্জা। বলেন, কোম্পানীগঞ্জে যে উন্নয়নগুলো হয়েছে সেটা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) কারণে হয়েছে। সারাদেশে হয়েছে। এখানে কোনো কাজ হয়নি, এখনো গ্যাস নেই এখানে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে কাদের মির্জা বলেন, কোম্পানীগঞ্জের মানুষ একদিন আপনার (ওবায়দুল কাদের) অস্তিত্ব শেষ করে ফেলবে। আপনাকেও ছেড়ে দেবে না। সমস্যার সমাধান যদি কোম্পানীগঞ্জের মাঠিতে না হয়, তাহলে আপনি এখানে আসতে পারবেন না। এর জন্য প্রয়োজনে আমার রক্ত ঝরবে, আমার পরিবারের সদস্যদের রক্ত ঝরবে। তবুও কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে আর আপনাকে আসতে দেব না।