পাসপোর্ট মেলেনি খালেদার, মন্ত্রণালয়ের মতামত আজ

করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টটি (এমআরপি) এখনো রি-ইস্যু করা হয়নি। ফলে শুরু করা যায়নি চিকিৎসার জন্য তার বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়াও।

সামাজিকমাধ্যমে বিএনপি নেতারা দাবি করেন, গতকাল শুক্রবার পাসপোর্ট অফিস খোলা রেখে খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট রি-ইস্যু করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হলেও তা ‘মিথ্যা’ বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বলেন, সাপ্তাহিক বন্ধের দিন খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার তথ্য মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিএনপি নেত্রীর মেয়াদউত্তীর্ণ পাসপোর্টটি রি-ইস্যুর আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কখন এ প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা স্পষ্ট করেননি অধিদপ্তরটির ডিজি।

এদিকে, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে সরকারের অনুমতি এখনো মেলেনি বলে জানিয়েছে তার পরিবার ও বিএনপির নেতারা। চিকিৎসক ও পরিবার তাকে যুক্তরাজ্য নেয়ার কথা বললেও সে প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।

ফলে সরকারি অনুমতি পাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে কোন দেশে নেয়া হচ্ছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। এ সংক্রান্ত দালিলিক কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে আজক শনিবারের মধ্যে মতামত দেবে আইন মন্ত্রণালয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গত ৫ মে রাতে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে সেটি মতামতের জন্য পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে।

আবেদনটি ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মত পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবিক।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে দুই দফায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।

সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর গত ৫ মে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয় তাকে, এখনো সেখানেই আছেন তিনি।